ই-সেবা

পছন্দের কিছু লিংক

গুরুত্বপূর্ণ সরকারি লিংকসমূহ

 
 
 
তথ্যাদি
জনপ্রিয় হয়ে উঠছে পার্চিং পদ্ধতি : বিনা খরচে ক্ষতিকর পোকা দমনে কার্যকর

চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই দামুড়হুদা উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় বোরোক্ষেতের পোকা দমনের জন্য পার্চিং পদ্ধতি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ গত বছর চাষীদের মাঝে বোরোক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ শুরু করেছিল। এবারও বোরো চাষের মৌসুমের শুরু থেকেই মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। কৃষি বিভাগের মতে, এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে বিনা খরচে বোরোক্ষেত মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় চলতি বোরো, মৌসুমে ৯ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। অর্জিত হয়েছে ৮ হাজার ৩শ’ হেক্টর। বোরো চাষী হাউলী গ্রামের আব্দুল মজিদ, আনছার, লোকনাথপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান, জয়রামপুর গ্রামের আবুল কালাম, মদনা গ্রামের নাজমুল ও ছয়ঘরিয়া গ্রামের আজিজুল বলেন, এবার বোরো মৌসুমের শুরুতেই উপজেলা কৃষি অফিস বোরো চাষিদের ধানক্ষেত মাজরা ও ক্ষতিকর পোকা-মাকড়ের কবল থেকে রক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে চাষীদের উৎসাহ যোগাতে থাকে।

উপজেলার বোরো চাষীরা কৃষি বিভাগের এই পরামর্শ গ্রহণ করার ফলে বোরো ক্ষেতে পার্চিং পদ্ধতি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা আরও বলেন, বোরো ক্ষেতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্ষেতে পুঁতে রাখা গাছের ডালপালা ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ইংরেজি টি অক্ষরের মত পার্চিং এর ওপর বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসতে শুরু করেছে। ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার মথ ও ক্ষতিকর পোকা মাকড় খেয়ে ফেলার কারণে মাজরা পোকার বংশ বিস্তার করতে পারে না । এর ফলে বোরোক্ষেতে মাজরা পোকা সহজে ধ্বংস হয়। এই পদ্ধতি অবলম্বনের ফলে ধানক্ষেতে মাজরা পোকা দমনের জন্য বাড়তি কোন খরচ নেই বললেই চলে। এই পদ্ধতিতে পোকা দমনের ফলে কীটনাশক ব্যবহারের দরকার হয় না। ফলে একদিকে যেমন ধান উৎপাদন খরচ কমে অপর দিকে পরিবেশও থাকে কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বোরো চাষীদের মাঝে পার্চিং পদ্ধতি জনপ্রিয় করে তুলতে বোরো মৌসুমের শুরু থেকেই মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। বোরোক্ষেতে এই পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে মাজরা পোকা ও মথ বাসা বাঁধার আগেই বিভিন্ন প্রজাতির পাখি তা খেয়ে ফেলে। ফলে বোরক্ষেতে মাজরা পোকা ও ক্ষতিকর মথ বংশ বিস্তার করতে পারে না। বোরোক্ষেত থাকে ক্ষতিকর পোকা-মাকড়মুক্ত। উপজেলার বোরোচাষীরা কৃষি বিভাগের এই উদ্যোগকে গ্রহণ করার ফলে এর সুফল পেতে শুরু করেছেন।