ভূমিকা:
পৃথিবীতে প্রায় ১২০ জাতের কবুতর পাওয়া যায়। বাংলাদেশে প্রায় ২০ প্রকার কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের সর্বত্র এসকল কবুতর রয়েছে। বাংলাদেশের জলবায়ু এবং বিস্তীর্ণ শষ্যক্ষেত্র কবুতর পালনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। পূর্বে কবুতরকে সংবাদ বাহক, খেলার পাখি হিসাবে ব্যবহার করা হতো। কিন্তু বর্তমানে এটা পরিবারের পুষ্টি সরবরাহ, সমৃদ্ধি, শোভাবর্ধনকারী এবং বিকল্প আয়ের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হচেছ। এদের সুষ্ট পরিচর্যা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিপালন করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা যায়।
কবুতরেরজাতঃ
মাংশ উৎপাদনকারী |
রেসিং |
ফ্লাইং |
শোভাবর্ধনকারী |
দেশী |
ক) কিং- সাদা, কালো,
সিলভার, হলুদ ও নীল |
ক) রেসিং
হামার |
ক) বার্মিংহাম রোলার |
ক) মালটেজ |
ক) সিরাজী |
খ) কারনিউ |
খ) হর্স ম্যান |
খ) ফ্লাইং টিপলার/ ফ্লাইং হোমার |
খ) ক্যারিয়ার |
খ) জালালী |
গ) মনডেইন- সুইস, ফ্রেন্স |
|
গ)থাম্বলার |
গ) হোয়াইট ফাউন্টেল |
গ) বাংলা |
ঘ) আমেরিকান জায়ান্ট হোমার |
|
ঘ) কিউমুলেট |
ঘ)টিম্বালার |
ঘ) গিরিবাজ |
ঙ) রান্ট |
|
ঙ) হর্স ম্যান |
ঙ) পোটারস্ |
ঙ) লোটন |
|
|
|
চ) নান্স |
চ) বোম্বাইছ) গোবিন্দ |
দেশী এবং মাংশ উৎপাদনকারী কবুতর বাংলাদেশের সর্বত্র পালন হয়ে থাকে যা পরিবারের পুষ্টি সরবরাহ করে তবে রেসিং, ফ্লাইং এবং শোভাবর্ধনকারী কবুতর শখের বসে বা বানিজ্যিক ভিত্তিতে পালন করে থাকে।
কবুতরপালনেরপ্রয়োজনীয়তথ্যাবলীঃ
প্রাপ্ত বয়ষ্ক কবুতরের দৈহিক ওজন (জাতভেদে) ২৫০-৮০০ গ্রাম, প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়ার সময়কাল ৫-৬ মাস, কবুতর প্রতিবার ১ জোড়া ডিম দেয় (প্রথম ডিম দেয়ার প্রায় ৪৮ ঘন্টা পর দ্বিতীয় ডিম দেয়), বাচ্চা উৎপাদনের বয়সকাল ৫-৬ বৎসর, ৪-৫ দিনে বাচ্চার চোখ ফোটে, ১৭-১৯ দিন বাচ্চা ফোটার জন্য ডিমে তা দেয়, ১০-১২ দিনে পালক গজায়, ২৮-৩০ দিন বাজারজাতকরণের বয়স, জীবনকাল ১৫-২০ বৎসর।
কবুতরপালনেরসুবিধাঃ
- বিনিয়োগ কম, প্রতিপালন অত্যন্ত সহজ এবং সংক্ষিপ্ত প্রজননকাল
- বেকার যুবক এবং দুঃস্থ মহিলাদের আয় বর্ধনের উৎস হতে পারে
- অল্প জায়গায় এবং অল্প খাদ্যে পালন করা যায় এবং রোগ বালাই কম
- মাংস মুস্বাদু পুষ্টিকর, সহজে পাচ্য এবং প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পুরণের উৎস
- মল জৈবসার হিসাবে ব্যবহার করা যায়
|