ই-সেবা

পছন্দের কিছু লিংক

গুরুত্বপূর্ণ সরকারি লিংকসমূহ

 
 
 
কৃষি উদ্যোগ
কুষ্টিয়ায় উচ্চফলনশীল গোল্ড ধান চাষে ফলন বিঘাপ্রতি ৩২ মণ

কুষ্টিয়ায় নতুন জাতের গোল্ড ধান কাটা উৎসবের উদ্বোধন করছেন জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম : নয়া দিগন্ত
কুষ্টিয়ায় নতুন জাতের ‘গোল্ড’ ধান চাষ করে বিঘা প্রতি ৩২ মণ ফলন হয়েছে। এতে কৃষকসহ ধানচাষের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই বিস্মিত ও আনন্দিত। প্রদর্শনী ভাবে সফল চাষে সবাই আশা করছেন চাষিরা এই ধানের আবাদ করে অধিক পরিমাণ ধান উৎপাদনে সম হবেন। গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বৃত্তিপাড়ায় পরীামূলকভাবে উৎপাদনকৃত এই ধান কাটার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জনতা ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতর কুষ্টিয়ার উপপরিচালক লুৎফর রহমান, জনতা ব্যাংকের কোম্পানি সেক্রেটারি মোসাদ্দেক-উল-আলম, কুষ্টিয়া এরিয়ার উপ-মহাব্যবস্থাপক এ এন এম এমদাদুল হক ও জনতা ব্যাংক কুষ্টিয়া করপোরেট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক। স্থানীয় কৃষি সম্প্র্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করছেন এই নতুন জাতের ধানচাষে চাষিরা উপকৃত হবেন, সেই সাথে এলাকায় বিপুল ধান উৎপাদন হবে।
জানা যায়, কুষ্টিয়ার চাষিরা উচ্চফলনশীল নতুন জাত ‘গোল্ড’ ধানচাষে পরিচিত নন। তবে এবার জনতা ব্যাংকের সিআরসি কর্মসূচির সহায়তায় এখানকার কৃষকেরা পরীামূলক উৎপাদন শুরু করেছেন। গীতাঞ্জলি এ্যাগ্রো সোসাইটির তত্ত্বাবধানে কুষ্টিয়া শহরতলীর বিত্তিপাড়ায় পাঁচ বিঘা জমিতে পরীামূলক ধানচাষ করা হয়। সিস্টেম অব রাইস ইন্টেন্সিফিকেশন (এসআরআই) পদ্ধতিতে গীতাঞ্জলি এ্যাগ্রো সোসাইটি। এই ধানচাষ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যাংকের সিএসআর খাত থেকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। এই প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ড. আফসারুজ্জামান জানান, এ ধানচাষে রোগবালাই ও কীটপতঙ্গের আক্রমণও তুলনামূলক কম। এই ধান জুলাই মাসের দ্বিতীয়ার্ধে রোপণ করে ১০৫ দিনে এই ধানটি কাটা হলো।
কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক লুৎফর রহমান বলেন, প্রচলিত আমন ধানের জাতের চেয়ে এই ধানের উৎপাদন অনেক বেশি। তা ছাড়া এই ধান চিকন ধানের অভাব মেটাবে। ফলে সবার কাছে এই ধানের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে। তা ছাড়া এই ধানের গ্রোথ ভালো, অর্গানিক ফার্টিলাইজার ব্যবহার করে রাসায়নিক সারের তি থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে যা মাটির গুণাগুণ ধরে রাখতে সহায়ক হবে। চাষি ওমর আলী বলেন, এমনিতেই ধানের বাজার মন্দা, তার ওপর গোল্ড ধান উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি হলেও বিঘাপ্রতি ফলন বেশি হওয়ায় আমাদের এলাকার চাষিরা দারুন খুশি। কারণ-জৈব সার ব্যবহারে মাটির উর্বরতা সঠিকভাবে ধরে রেখে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধিতে সহায়ক হওয়ায় পরে আরো বেশি ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে