ই-সেবা

পছন্দের কিছু লিংক

গুরুত্বপূর্ণ সরকারি লিংকসমূহ

 
 
 
ব্যবসা ও শিল্প
নিজেই দিয়ে দিন আইসক্রীম ফ্যাক্টরী

আইসক্রিম তৈরীর কাঁচামালগুলো কি কি?
১. হাইড্রোজেনেড কোকোনাট অয়েল /পাম কারনাল অয়েলীন
২. মিল্ক পাউডার (ফুলক্রীম )
৩.
ইমালসিফায়ার এবং স্ট্যাটাবলাইজার
৪.
ফুড কালারিং
৫.
ফ্লেভারস : ভ্যানিলা , স্ট্রবেরী, অরেঞ্জ, কফি ইত্যাদি।
৬.
গ্লুকোজ
৭. কুয়ার গাম
৮.
কোকোয়া পাউডার
১০. আইসক্রিম ক্টিক

প্রস্তুত প্রণালী এর ধাপ গুলো
১. ব্লেনডিং অব দ্যা মিক্স ইনগ্রিডিয়েনডস
২.
পাস্তুরাইজেশন
৩. হোমোজেনাইজেশন
৪. এইজিং দ্যা মিক্স
৫.
এডিং লিকুইড ফ্লেভার , কালার
৬.
ফ্রিজিং
৭. হার্ডেনিং
৮. কোয়ালিটি টেস্টটিং
৯.
প্যাকেজিং
ব্লেনডিং অব দ্যা মিক্স ইনগ্রিডিয়েনডস
প্রথমেই স্কিম মিল্ক / পাউডার মিল্ক , ইমালসিফায়ার , নন ফ্যাট, একএে ব্লেনডিং মেশিনেমেশানো হয় – – একে বলে ব্লেনডিং । অনেক সময় সলিড উপকরণগুলো কে লিকুইড উপকরণের সাথে মেশানো পূর্বে একবার ব্লেনড করে নেয়া হয় ।

পাস্তুরাইজেশন
পরবর্তীতে ব্লেনডিং এর মাধ্যমে প্রাপ্ত মিশ্রণ যাকে বলে আইসক্রিম মিক্স কে পাস্তুরীকরণ করা হয় । আইসক্রিমকে ১৫৫ ডিগ্রী ফারেনহাইড / ৬৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এ পাস্তুরীকরণ করা হয় এবং প্রায় ৩০ মিনিট পাস্তুরীকরণ করা হয় । ফ্যাক্ট্যরীতে দুই ধরনের পাস্তুরাইজার বেশি ব্যবহার করা হয় ব্যাচ পাস্তুরাইজার এবং ভ্যাট পাস্তুরাইজার ।

হোমোজেনাইজেশন
পরবর্তী ধাপে আইসক্রিম মিক্সকে হোমোজেনাইজেশন করা হয় ( ২৫০০-৩০০০পিএসআই)। ,হোমোজেনাইজেশন হলো কেনো মিশ্রণের উপাদান কে সমরূপে মিশ্রিত করা , এর ফলে মিশ্রণ মসৃণ এবং ক্রীমি হয় , ইমালসিফায়ার ও এবং স্ট্যাটাবলাইজার আরো ভালভাবে মিশ্রিত হয় । হোমোজেনাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ যার উপর আইসক্রীমের মান অনেকখানি নির্ভরশীল ।

এইজিং দ্যা মিক্স
পরবর্তীতে ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াসে প্রায় ৪ ঘন্টা বা সারারাত হোমোজেনাইজড মিক্সড কে এইজিং করা হয় । এইজিং এর ফলে মিল্ক ফ্যাটগুলো ভেঙ্গে আংশিক দানাদার হয় ।
এডিং লিকুইড ফ্লেভার , কালার : এই পর্যায়ে লিকুইড ফ্লেভার এবং কালার যোগ করা হয় ।

ফ্রিজিং
এরপর মিশ্রণকে ফ্রিজারে রেখে দেয়া হয় , ভিতরের তাপমাএা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে রাখা হয় এবং ফ্রিজিং এজেন্ট হিসেবে তরল এমোনিয়া ব্যাবহার করা হয় । যদি সিঙ্গেল ব্যাচ ইলেক্ট্রফ্রিজার ব্যাবহার করা হয় তবে ১৫-২০ মিনিটেই ফ্রিজিং হয়ে যায় ।

হার্ডেনিং
এই ধাপে আইসক্রিম কণ্টেইনারে রাখা হয় । ফ্যাক্টরী মেশিনগুলো তা সরাসরি কার্টনে ভরে দেয় অথবা বিভিন্ন আকার প্রদান করা হয় । মেশিনগুলো থেকে  আইসক্রিম বের করে ২০ডিগ্রী ফারেনহাইড ফ্রিজারে রাখা হয় যাতে শক্ত আকার ধারন করে ।

কোয়ালিটি টেস্টিং
এই ধাপে আইসক্রীমের মান যাচাই করা হয় ।

প্যাকেজিং
সবশেষে অটোমেটিক মেশিনে এ প্যাকেজ করে ফ্রিজে সংরক্ষন করা হয়। একেক ফ্যাক্টরীর তৈরী আইসক্রিম এর ফ্রিজিংপয়েন্ট একেক একেক রকম , তাই যে কোম্পানি আইসক্রিম তৈরি করে তারাই সেই আইসক্রিম এর জন্য রেফ্রিজারেটর দিয়ে থাকে ।